বৃটিশ লাইব্রেরি - পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতীয় গ্রন্থাগার |
বৃটিশরা উপমহাদেশে প্রভুত্বের কারণে এখানকার সাহিত্য নিয়ে তাদের চর্চা ছিল, তারা তো আর ভারতবর্ষের মত গোঁড়া ছিল না যে ছাই উড়ানোর কষ্ট করতে নারাজ হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে 'ইউকে ইন্ডিয়া ইয়ার অব কালচারাল প্ল্যান ফর-২০১৭' পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উদ্দেশ্য বৃটিশ লাইব্রেরির ১৭১৩ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত সংগৃহীত চার হাজার ভারতীয় প্রিন্টেড বাংলা বইকে ডিজিটাইজ করা। সে ৪ হাজার বইয়ে আছে ৮ লক্ষাধিক পাতা। বাংলা বইয়ের পরিকল্পনাটুকু অবশ্য বড় প্রকল্পের অংশ— টু সেঞ্চুরিজ অব ইন্ডিয়ান প্রিন্ট। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে 'নিউটন ফান্ড'। এই পাইলট প্রকল্পটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস, সৃষ্টি ইনস্টিটিউট অব আর্ট, ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের SOAS লাইব্রেরির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করা হচ্ছে।
তিনশ বছর আগ থেকে দুইশ বছরের ক্রমিক আয়োজন হতে যাচ্ছে ভারতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, সাহিত্য নিয়ে গবেষণার খোরাক। দীর্গ সময়ের ব্যবধানে সেগুলো প্রকাশের স্বত্ব হারিয়েছে। আপাতত উইকিসংকলনে ৪০২০টি গ্রন্থভুক্তির কাজ শেষ। আরেকবার বলতে মন চাচ্ছে— ৮ লক্ষাধিক পাতার কাগজ এখন ছবি হয়ে সংকলিত গেছে উইকিসংকলনে। যথাশীঘ্রই ছবিগুলো থেকে ওসিআর, প্রুফ রিডিং, সম্পাদনার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তারা তৈরি হয়ে যাবে উইকিসংকলনেওর পরিচিত পরিবেশে।
কিন্তু যে কেউ চাইলে এখনো পড়তে পারে। ছবির পিডিএফে আমরা বই পড়ি না তা তো আর না।
আমরা হতভাগ্য জাত- সব কিছু সয় আমাদের। শুধু সয় না অভিজাত হয়ে গেলে বইকেও নিজের সাথে অভিজাতশ্রেণীর অঙ্গ মতন ভাবা।
ভারতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার থেকে স্ক্যান
আরো পড়ুন ভাল সময় কাটাতে:
http://www.sachalayatan.com/tareqanu/45581
https://bn.wikipedia.org/wiki/জাতীয়_গ্রন্থাগার