Nov 23, 2017

কিত্তনখোলা - চলচ্চিত্র রিভিউ

রচয়িতা: সেলিম আল দীন

// যাত্রাদল-বেদে-মেলা-গ্রাম্য প্রভাবশালী-নেশা-অনিবেদনীয় প্রেম-যাত্রার মেয়ের জীবন-বেদেনীর জীবন-পুরুষ-নারীর মোহ //


"আইচ্ছা (রবিদা) একটা ফলের মইধ্যে এত রকমের সোয়াদ কেন? (আমলকি হাতে নিয়ে)
কষ্টা লাগে, চুকা লাগে, নোনতা লাগে আবার বেশি চাবাতি গেলে লাগে তিতা।

-ফলটা তোমার মতো। এক সোয়াদ থেইকা আরেক সোয়াদে লাফাইয়া বেড়ায়। কোনটা যে আসল বোঝা যায় না।"

—মিশে আছে বনশ্রীর বেদনার গাথা।

যাত্রায় পালা করতে বাধ্য বনশ্রীর পা বাঁধা অদৃশ্য সামাজিক শেকলে। পতিতা পল্লীতে ফিরে যেতে চায় না, কিন্তু যাত্রাদল থেকেও পালাবার পথ নেই। অদৃশ্য শেকল!
জবাবদিহিতা থাকে কেবল ডালিমনদের। তাদের ঈশ্বরেরা হয় যাত্রার সাধারণ দর্শকের মত। বিপদ ও আকুতির বার্তা পৌঁছায়, কিন্তু দাওয়াই দেয়ার ক্ষমতা থাকে না।

একে পুরুষ, আবার দুইয়ে অর্থ ও নেতাই ক্ষমতা— ইদুকে দিয়েছে দুশ্চরিত্রের বৈধতা। এরা ঈশ্বর, কারো মৃত্যুও তাদের লক্ষ্য-ব্যবসা-দুনিয়াদারী থেকে বিচ্যুত করে না।