Showing posts with label অলিম্পিয়াড. Show all posts
Showing posts with label অলিম্পিয়াড. Show all posts

Jul 23, 2017

গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন ও পাঠ্য নির্দেশনা ও বই সংকলন

যারা বিশ্বাস করো গণিত দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায় তাদের জন্য...
২০০৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক, বিভাগীয়, জাতীয় পর্যায়ের প্রশ্নসমূহের সংকলন রয়েছে। যেইসব বাবুরা আগামী দিনের আসিফ, ধনঞ্জয়, মুন, চমক হাসান হতে চাও তাদের জন্য। গুগল ড্রাইভে যোগ করে নাও আর ডাউনলোড করে চর্চা শুরু করে দাও। 

https://drive.google.com/open?id=0B6clXcy_fidDY3lOLS1NejZXYWM বা https://goo.gl/wgkc2M এখান থেকে। 
শুধু প্রশ্ন থাকবে আর প্রস্তুতি থাকবে না, সেই অবিচার এই ফোল্ডারে নেই। কী কী পড়ে এগুনো যাবে তাও দেয়া আছে। আমি আমার এক ছোটভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছি, বসে সাইটের প্রশ্নগুলোকে আনজিপ করে আপ দিয়েছি যেন প্রতিটা কন্টেন্ট ধরে ধরে এক্সেস করা যায়।
শেয়ার করি ওর চেয়েও ছোট সকল ভাই-বোনদের জন্য। এবার বাংলাদেশ গণিত দলে কোনো মেয়ে ছিল না। পদার্থবিজ্ঞানের দলে ছিল  ।
এবারের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের প্রথম দশটি দলে ৬০ জনের মধ্যে ছিল ২ জন মেয়ে। মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়।
কিন্তু রক্ষণশীল দেশ ইরানের একটা আশাপ্রদ গল্প আছে। মেয়েরা কিভাবে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিবে ইরান থেকে, কেউই তো আগে নেয় নি! এই অবস্থায় ভাগ্য,পরিস্থিতি মিলিয়ে ১৯৯৪ এ দুইজন মেয়ে অংশ নিল। তাদের একজন মরিয়ম মির্জাখানি। আরেকজন রয়া বেহেশতী এখন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গণিতের প্রফেসর।
মির্জাখানি কতখানি গণিতবিদ শোনো। প্রথমবার সুযোগ পেয়ে ১ নাম্বার কম পেয়ে সোনার মেডেল।
পরের বছর ৪২ এ ৪২ তুলে ব্যক্তিগত ফলাফলে প্রথমস্থান। ঢুকে গেলেন Hall of Fame এ।
প্রথম নারী হিসেবে জিতে নেন গণিতের সর্বোচ্চ পদক ফিল্ডস মেডেল। [২০১৪]
রক্ষণশীল ইরানে যদি মির্জাখানি পারেন তো বাংলাদেশেও কেউ পারবে।
পৃথিবীময় কার্দাশিয়ানের যুগে মির্জাখানির জন্য চেয়ে আছে #বাংলাদেশ। জাগো গো ভগিনী। সাথে জাগরূক ভাইয়ারা।



Nov 7, 2016

৭ম জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন

মাত্র ছয়দিনে ১ হাজার ৩শ ৮৭টি ছেলেপেলে (মেয়েরাও এর মধ্যে পড়ে) সই করে বসে আছে যে তারা একটা সকাল শীতের কাতরতার আগে বিজ্ঞানের জন্য কাতর হয়ে কাটাবে।
এটা সেটা বিজ্ঞান না, সবচেয়ে বুজুর্গ বিজ্ঞান- পদার্থবিজ্ঞানের জন্য। :D

[যারা জানে না/ এখনও রেজিস্ট্রেশন করে নি তাদের জন্য পোস্ট দিচ্ছি]

আগামী ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ নির্ধারিত স্পটে আঞ্চলিক পর্যায়ের ৭ম পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর বাছাই অনুষ্ঠিত হবে।

অংশগ্রহণ করা যাবে তিনটি ক্যাটাগরীতে।

এ ক্যাটাগরী: ৭ম-৮ম শ্রেণী
বি ক্যাটাগরী: ৯ম-১০ম শ্রেণী
সি ক্যাটাগরী: ১১শ-১২শ শ্রেণী

১৩৮৭ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মিলে। চট্টগ্রাম অঞ্চল আবার ঢাকা অঞ্চল থেকে তিন ক্যাটাগরীতেই এগিয়ে। ঢাকাকে যেকোনো পর্যায়ে হারিয়ে দেয়া একটা ভালো লক্ষণ। কারণ এই হারটা এক ধরনের জয়। বিজ্ঞানকে পরীক্ষার চেয়ে উৎসব হিসেবে ছড়িয়ে দেয়ার জয়। :)

এবার ইন্দোনেশিয়ায় যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড হতে যাচ্ছে তা ৪৮তম, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় যে এশিয়ান অলিম্পিয়াড হতে যাচ্ছে তা ১৮তম।
অথচ আমরা যে জাতীয় অলিম্পিয়াড করতে যাচ্ছি তা ৭ম।
এর থেকে একটি সোজাসাপ্টা সত্য হল, বৈশ্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে আমরা এশিয়ানরা কিছুটা পিছিয়ে, আর বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে।

"আমরা ইউরোপীয়ানদের চেয়ে বিজ্ঞানে ৫০০ বছর পিছিয়ে"- হয়ত ত্রিশ বছর পর এই একই লাইন মাথায় নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে কাউকে ডেকে বলব, ভাই অনেক দিন একটা কটাক্ষ মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আজ সেটা জোকস হয়ে গেছে। আপনি কি শুনবেন?
:) 

সোনার ছেলেরা! সোনার মেয়েরা! তোমাদের চোখে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন। :)

লিংক:
http://bdpho.org/

#Physics
#Olympiad
#Registration

Oct 26, 2016

Princeton University Physics Contest 2016

নভেম্বরে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধীনে একটি পদার্থবিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিযোগিতা হবে।
এর দুইটা স্বাদ।
Onsite এবং Online. 



Onsite examটি হবে সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে।
প্রিন্সটনের নিজস্ব ক্যাম্পাসে হবে আর একই সাথে চীন, জার্মানি ও স্লোভাকিয়াতেও নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। Onsite exam এর কথা এমনি বললাম, বলার জন্য বলা। 

Online Exam অনুষ্ঠিত হবে সাত দিনব্যাপী। ১২ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর। দুই ধরনের পরীক্ষাতেই দলগতভাবে অংশগ্রহণ করা যাবে। দল হবে ২-৬ জনের।
তবে শুধু স্কুল ও কলেজের (প্রডিজি! চিয়ার্স :D ) শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সে থাকা কেউ অংশ নিতে পারবেন না।
ব্যবহার করা যাবে WolframAlpha, Mathematica, Matlab, Excel অথবা যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষা।
পুনশ্চ: গতবছর পর্যন্ত onsite exam শুধু প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হত। আইন্সটাইন, ফাইনম্যানের ইউনিভার্সিটি চায় আরো কিছু জায়গায় আয়োজনটা ছড়ানো যাক। সেই খাতিরে এবারে তিনটা স্পট বাড়ানো হয়েছে।
আমাদের দেশে বিজ্ঞানে ভয়ংকর আগ্রহী বাচ্চাকাচ্চাদের একটা প্রজন্ম বড় হচ্ছে। শুধু বয়সে না, আকারেও। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির কথা চিন্তা করে বাঙালি হিসেবে আমি দুইটা চিন্তা করতে পারি।
এক, (টিপিকাল বাঙালিদের মত) ইশ! আমাদের দেশেও প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এক সময় তাদের এই আয়োজনটার পাখা ছড়িয়ে দিবে।
দুই, ১৬ কোটির দেশে ৩৭টা গণবিশ্ববিদ্যালয়।
If they can, why can't we?
If not now, so when?
কিসের অভাব আমাদের?
কয়টা দেশের আছে এত মানুষের শক্তি?