Mar 19, 2017

বড় মেশিন গোল সার্ন, কণা ভাঙে খান খান!

সার্নের LHCb ঘোষণা দিল আরো পাঁচটি নতুন কণা আবিষ্কারের খবর!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যন্ত্র ২৭ কিলোমিটার পরিধির লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে সাতটি পার্টিকেল ডিটেক্টর পয়েন্ট রয়েছে। সাতটির একটি হল LHCb- লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বিউটি।

সার্নের LHCb এর অভ্যন্তরীণ চিত্র


যে পাঁচটি কণা পাওয়া গেছে সেগুলো ওমেগা-সি-জিরোর (Ωc0- প্রতীকটি এখানে লেখা যাচ্ছে না) পাঁচটি উত্তেজিত দশা।
ওমেগা-সি-জিরো একটি ব্যারিয়ন কণা।
ব্যারিয়ন হল হ্যাড্রনের একটা প্রকার, আরেকটা প্রকার হল মেসন।
প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের মহাকর্ষ আর তড়িৎচৌম্বক আমাদের মুখ ও মস্তিষ্কে উজ্জ্বল।
এই যে হ্যাড্রন সাহেবকে নিয়ে আসলাম, উনার কারবার হল সবল নিউক্লিয় বল এবং এর মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে। হ্যাড্রনের এক রাস্তা চলে গেছে ব্যারিয়নে। এর মধ্যে ওমেগা ব্যারিয়ন হল ব্যারিয়নের একটা উপরাস্তা আরকি।
ভয়ের কারণ নাই, পথ হারানোর ভয় নাই। জিনিস সোজা।
ব্যারিয়ন একটা যৌগিক কণা- তিনটি কোয়ার্কের সমন্বয়ে এক একটা ব্যারিয়ন গঠিত হয়। আমাদের সবচেয়ে চেনা ব্যারিয়ন হল প্রোটন আর নিউট্রন। স্পষ্টত, প্রোটন আর নিউট্রনও যৌগিক কণা। মৌলিক উপাদান হচ্ছে কোয়ার্ক। :)
কোয়ার্কের ছয়টা সদস্য (এই শেষ, প্রায় ফুরিয়ে এনেছি গিট্টু)
ছয়টা কোয়ার্কের নাম না বললে পাপ হয়ে যাবে।
আপ, ডাউন, চার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ এবং বটম কোয়ার্ক।
এই ছয়টা কোয়ার্ক থেকে বিভিন্নভাবে তিনটা করে কোয়ার্ক মিলে গঠন করে এক একটা ব্যারিয়ন।
আমাদের ওমেগা-সি-জিরো ব্যারিয়ন কণাটির নাম হচ্ছে চার্ম ওমেগা (Charmed Omega). দুইটা স্ট্রেঞ্জ কোয়ার্ক আর একটা চার্ম কোয়ার্ক মিলে গঠন করে একটা চার্ম ওমেগা। যেহেতু এর কোনো নিট আধান নেই তাই এর প্রতীক ওমেগা-সি-জিরো।

পাঁচটি ওমেগা ব্যারিয়ন চিহ্নিতকরণ তথ্যচিত্র
যে পাঁচটি উত্তেজিত দশা পাওয়া গেছে সেগুলোর নাম দেয়া হয়েছে Ωc(3000)0, Ωc(3050)0, Ωc(3066)0, Ωc(3090)0 and Ωc(3119)0. ব্র্যাকেটে দেয়া সংখ্যা MeV সূচক, যে শক্তিমাত্রায় এদের চিহ্নিত করা গেছে। MeV ব্যবহৃত হয় কোন কণার নিশ্চল অবস্থার ভর বোঝাতে। তো কোনটা ভারী, কোনটা হালকা এ ব্যাপারটাও খুব সহজেই বলে দিতে পারবেন এই গোলমেলে লেখাটা থেকেও। MeV যদিও শক্তির একক, আবার কণা পদার্থবিজ্ঞানে High Energy Physics এ কণাদের ভর হয় relativistic ও কণা-তরঙ্গ দ্বৈততার এ এক চমৎকার হিসেব। 
1MeV= 1.602 x 10^-13 জুল। অতএব আলোর বেগের বর্গ দিয়ে ভাগ করলেই চিরপরিভিত কেজি এককে ভর পেয়ে যাবেন। 






:)
বিজ্ঞানীদের পরবর্তী কাজ এদের কোয়ান্টাম নাম্বার বের করা আর অবশ্যই তাত্ত্বিক তাৎপর্য ধরে ফেলা। এর ফলে কোয়ার্ক এবং বহুকোয়ার্ক দশার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক খোলাসা হবে।

No comments:

Post a Comment