Jul 23, 2017

গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন ও পাঠ্য নির্দেশনা ও বই সংকলন

যারা বিশ্বাস করো গণিত দিয়ে বিশ্ব জয় করা যায় তাদের জন্য...
২০০৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক, বিভাগীয়, জাতীয় পর্যায়ের প্রশ্নসমূহের সংকলন রয়েছে। যেইসব বাবুরা আগামী দিনের আসিফ, ধনঞ্জয়, মুন, চমক হাসান হতে চাও তাদের জন্য। গুগল ড্রাইভে যোগ করে নাও আর ডাউনলোড করে চর্চা শুরু করে দাও। 

https://drive.google.com/open?id=0B6clXcy_fidDY3lOLS1NejZXYWM বা https://goo.gl/wgkc2M এখান থেকে। 
শুধু প্রশ্ন থাকবে আর প্রস্তুতি থাকবে না, সেই অবিচার এই ফোল্ডারে নেই। কী কী পড়ে এগুনো যাবে তাও দেয়া আছে। আমি আমার এক ছোটভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছি, বসে সাইটের প্রশ্নগুলোকে আনজিপ করে আপ দিয়েছি যেন প্রতিটা কন্টেন্ট ধরে ধরে এক্সেস করা যায়।
শেয়ার করি ওর চেয়েও ছোট সকল ভাই-বোনদের জন্য। এবার বাংলাদেশ গণিত দলে কোনো মেয়ে ছিল না। পদার্থবিজ্ঞানের দলে ছিল  ।
এবারের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের প্রথম দশটি দলে ৬০ জনের মধ্যে ছিল ২ জন মেয়ে। মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়।
কিন্তু রক্ষণশীল দেশ ইরানের একটা আশাপ্রদ গল্প আছে। মেয়েরা কিভাবে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিবে ইরান থেকে, কেউই তো আগে নেয় নি! এই অবস্থায় ভাগ্য,পরিস্থিতি মিলিয়ে ১৯৯৪ এ দুইজন মেয়ে অংশ নিল। তাদের একজন মরিয়ম মির্জাখানি। আরেকজন রয়া বেহেশতী এখন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গণিতের প্রফেসর।
মির্জাখানি কতখানি গণিতবিদ শোনো। প্রথমবার সুযোগ পেয়ে ১ নাম্বার কম পেয়ে সোনার মেডেল।
পরের বছর ৪২ এ ৪২ তুলে ব্যক্তিগত ফলাফলে প্রথমস্থান। ঢুকে গেলেন Hall of Fame এ।
প্রথম নারী হিসেবে জিতে নেন গণিতের সর্বোচ্চ পদক ফিল্ডস মেডেল। [২০১৪]
রক্ষণশীল ইরানে যদি মির্জাখানি পারেন তো বাংলাদেশেও কেউ পারবে।
পৃথিবীময় কার্দাশিয়ানের যুগে মির্জাখানির জন্য চেয়ে আছে #বাংলাদেশ। জাগো গো ভগিনী। সাথে জাগরূক ভাইয়ারা।



Jun 23, 2017

সাধবৃক্ষ

এক পথিক ভ্রমণ করিতে করিতে হঠাৎ করিয়া স্বর্গে আসিয়া উপনীত হইলেন!
আচমকাই তাহার চারপাশ তাহাকে যেন থমকাইয়া দিল।
কেউ কোথাও নেই, অথচ কে যেন ভেতর থেকে বলিতেছে— ইহা স্বর্গ, ইহাই স্বর্গ!

পথিক এক গাছের ছায়াতলে গিয়া বসিল। সে বৃক্ষের নাম— সাধবৃক্ষ। সাধবৃক্ষের নিচে দাঁড়াইয়া যাহা চাওয়া হয় তাহাই পাওয়া যায়।
পথিক ভাবিল, "আমি ক্ষুধার্ত, কিছু খেতে পেলে মন্দ হইত না।" ভাবিতে বিলম্ব হইল,
তাহার সামনে সরাৎ সরাৎ টেবিল আসিয়া খাবারে ভরিয়া যাইতে বিলম্ব হইল না।
পথিক অবাক না হওয়ার কোনো সুযোগ পাইল না।
পথিক ভাবিল— একি! ইহা তো হইতে পারে না।
পুনরায় ভাবিতে কেবল বিলম্ব হইল, হুশ হাশ করিয়া টেবিল খাবার সমেত অদৃশ্য হইতে সময় লইল না।
ভারী মছিবত তো!
"আবার ফিরিয়া আসুক আহার!"- ভাবিতেই হাজিরা ঘটিয়া গেল।
প্রহর ধরিয়া পথিক খাওয়া চালাইল। তাহার জীবনে এত স্বাদের আহার সে করে নাই।
আহার ফুরাইলে পানীয়ের সাধ জাগিল— সাধবৃক্ষ কোনরূপ অন্যথা করিল না।
কারণ, স্বর্গে কোনো বাধা নাই। নিয়ম-অনিয়মের বালাই নাই। অনিয়মও সেথা নিয়ম।

অতি আহারে ক্লান্ত পথিক শুইয়া রহিল। বৃক্ষতলে শ্রান্তির সাথে মদ্যপান করিতে লাগিল।
মনে আয়েশে আশ্চর্যবোধ চাড়া দিতে লাগিল। তাহার লক্ষণ তাহার হুশের ভিতর থেকে ছুটিল।
"কেন এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটা লাগবে! এটা হওয়ার দরকার কী? এত্ত ভাল হওয়ার মাঝে নিশ্চয়ই ঝামেলা আছে।
এ নিশ্চয়ই ভূতেদের কাজ। তারা আমার সাথে তামাশা করিতেছে!"

ভাবিতে ঘোর লাগিল, কিন্তু ঘোরের সাধও ফিরিয়া গেল না। সত্যই তাহার সম্মুখে ভূতের আবির্ভাব ঘটিল।
পৃথিবীর অসম্ভব জিনিসও এইখানে সম্ভব হইবে সেই খেয়াল তাহার ছিল না— থাকার কথাও না। তারা দেখিতে
ছিল তেমনি ভয়ংকর— যেমনটি পথিক ভাবিয়াছিল।

আতংকে মদের বোতল ছুঁড়িয়া ফেলিল। মারিয়া ফেলিবে নাকি!

ভাবিতে সময় পার হইল। তাহার মরিতে ক্ষণকাল ব্যয় হইল না।

স্বর্গে মৃত্যু নাই— কিন্তু ইচ্ছার উপর অন্য কোনো কথা নাই। সাধ মিটানো হইবেই— ইহাই স্বর্গের পণ, নিয়ম।

মানুষ তাহার ইচ্ছার জগতেই বসবাস করে। তাহার ইচ্ছাই তাহাকে ঠেলিয়া লইয়া চলে। ইচ্ছা হয়ত তাহার শক্তি— কিন্তু সে ইচ্ছারই অধীন। ইচ্ছাশক্তিই তাই সবচেয়ে ক্ষমতাবান।

May 16, 2017

পরিবহন ব্যবস্থায় বিভিন্ন দেশের ওয়্যারলেস চার্জিং পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট

টেকসই পরিবহন ব্যবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ির বেশ সম্ভাবনাপূর্ণ ভবিষ্যতের অঙ্গীকার লক্ষ করা যায়। কিন্তু এই পরিবহন ব্যবস্থায় মাথাব্যাথার কারণ হল ভারী ব্যাটারী, রিচার্জ করার সমস্যা। রিচার্জেবল ব্যাটারী খুবই ব্যয়বহুল আবার রিচার্জ করতেও যথেষ্ঠ সময় নিয়ে থাকে।
পরিবেশের সাথে একটু সখ্যতা করল বটে, কিন্তু সময় ও অর্থের সাথে বৈরীতা করে গতিশীল অর্থনৈতিক সাধনা করা মানবসমাজের জন্য একটা সমস্যা ঠিকই রেখে দিল।

ইসরায়েল পরীক্ষামূলকভাবে তারবিহীন চার্জিং এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থায় অভিনবত্ব আনার প্রচেষ্টা করছে। 

ইসরায়েল একটি অভিনব প্রচেষ্টা করছে, রাস্তায় তারবিহীন চার্জ করার মাধ্যমে। অনেকটা বৈদ্যুতিক ট্রেনে যেমন সরাসরি লাইন থেকে শক্তি প্রদান করা হয়, তেমনি রাস্তা দিয়ে তারবিহীন চার্জারের মাধ্যমে গাড়ি শক্তি গ্রহণ করে চলবে। এতে করে আর আগের মত ভারী ব্যাটারী ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এমনকি রিচার্জের উদ্দেশ্যে আলাদা করে থেমে সময় খরচ করতে হচ্ছে না। ঠিক যেমনটা গতিশীল পরিবহন ব্যবস্থা চেয়েছে প্রাযুক্তিক উৎকর্ষতায় উন্মীলিত মানুষেরা।

বর্তমানে ইসরায়েলের রাজধানী তেল-আবিবের রাস্তায় ৮০ ফুট (মাত্র ২৪ মিটারের কিছু বেশি) দৈর্ঘ্যে এর প্রোটোটাইপ প্রকল্প চলছে। পরীক্ষামূলক প্রকল্প সফল হলে ২০১৮ সালের মধ্যে এটি আধাকিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ করা হবে এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলের এইলাট শহর এবং রমন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যকার ১১ কিলোমিটার রাস্তায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। চলবে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ শাটল সার্ভিস।

ইসরায়েলিরাই যে প্রথম তা কিন্তু নয়, কোরিয়ানরা বরং এই পদ্ধতি আরো আগেই ধরে ফেলেছে। Korea Advanced Institute of Science and Technology ১৫ মাইল দীর্ঘ রাস্তায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তারবিহীন পদ্ধতিতে যেভাবে মোবাইল চার্জ দেয়া হয়, ঠিক একই নীতি ব্যবহার করা হয়েছে এখানে, কেবল একটু বৃহত্তর স্কেলে। বৈদ্যুতিক আবেশের নীতি ব্যবহৃত হয়েছে এখানে।

কোরিয়াতে রাস্তা থেকে বাসের রিচার্জিং মেকানিজম তল মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার ব্যবধানে থাকে। দূরত্ব বাড়লে চার্জিং এফিসিয়েন্সি (দক্ষতা) কমে যায়। এ পরিস্থিতিতে ১০০কিলোওয়াটে চার্জিং কর্মদক্ষতা ৮৫%। চার্জিং প্লেটগুলো বিস্তারের হিসেব করলে তারা রাস্তার ৫-১৫% জায়গা খরচ করেছে। কোরিয়াতে এই পরীক্ষণটি চলছে দুটো ইনডাকশন বাস দিয়ে, সফল হলে অবশ্যই সেটা বেড়ে দাঁড়াবে।

Apr 21, 2017

অদ্রি তলে বসে শিলাখন্ড, বহে অদ্রি ভার

লাইনটি অক্ষয়কুমার বড়ালের মানব বন্দনা কবিতার। আমি অবশ্য কবিতা পড়তে গিয়ে খুঁজে পাইনি এই লাইন। পেয়েছি মুনির হাসান স্যারের লেখা পড়তে পড়তে। হঠাৎ মনে হল, চারপাশটা আমার চেপে আসছে। ছোটখাটো কিছু না, দীর্ঘ সময় ধরে উঁচু উঁচু অদ্রিরা ধেয়ে আসছে, অদ্রির যে বিশালতা সেই বিশালতার প্রতিশব্দ সময়। শিলাখন্ড খুবই অল্প সময়, আমার সময়ও খুব অল্প। আমি হয়ত অদ্রিভার বইতে পারব না, কিন্তু পাষাণচাপা অদ্রিতলেও তো টিকতে পারব না। বাইতে হবে, অদ্রিতল থেকে অদ্রিগাত্রে। আমার সময় হয়ত কম, অদ্রির তো আর কম নয়! বাইতে থাকলে কিছুটি পাব নিশ্চয়ই? না পাইও বা যদি, অন্তত অদ্রিসম-সময়ভারে তো আর মিলিয়ে যাব না।
বইতে থাকুক অদ্রির প্রহরস্রোত, আমি যেন গাইতে থাকি স্রোতের মুখে... 

পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি

ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া

লুই আই কানের বিশ্ববিদ্যালয়। কতটা ঘোরা যায় দেখি। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, নিভৃতে অনেক কল্পনা খেলে যায়। পেনের সাইটে দেখি তাদের নামে সৃষ্টির গল্প- Pennovation Works. 
কত সাবলীলতায় Proper Noun হয়ে যাচ্ছে Abstract Noun. 
আমার কাছে প্রশ্ন জাগে, আমরা কতটা SUSTain করব? কে জানে? তবুও ভাবি একদিন বুকে অনেক দম এসে জমবে।

ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহাম
ডিপার্টমেন্টের কেউ একজন বড়ভাই (ক** চ***) টিএ হিসেবে চান্স পেয়ে গেল, আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।  আগস্টে জয়েন, ২২০০০ ডলার বাৎসরিক স্কলারশিপ। কাজের ক্ষেত্র নন লিনিয়ার অপটিক্স। হিসেব রাখি। খায়েশি হিসেব।
এখানটায় একজন প্রিয় লোক আছেন। আমাদের ঘরের ছেলে। বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রাথমিক প্রতিষ্ঠাতা। শিক্ষক ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা। প্রফেসর ড. রাগিব হাসান। [স্কলারে] [লিঙ্কডইন]


নিজের ইউনিভার্সিটির সাইট দেখে চোখ সয়ে গেছে। সেরা দশের (USA#4) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে ঘুরতে গিয়ে যেন বিপদে পড়ে গেলাম। পাতায় পাতায় এত পড়ালেখার কথা কেন? 
কে করে এগুলো? লিডার পেইজে কিনা সাতজন নোবেল লরিয়েটের নাম!
কি আশ্চর্য! আমার দেশের নেতারা তো কখনো নোবেল পাবেন না। যারা পেয়েছেন বা পেতে পারেন তাদের তো আবার আমরা নেতা বলি না! আমাদের নেতারা 'নেতা' আমাদের সংজ্ঞায়! 
তাদের 'নেতা'দের জন্য সংজ্ঞায়ন করতে হয়নি, বিশ্ব মেনে নিয়েছে। 
* সাইটে রিসার্চ সেকশন অবশ্য পাঠ্য। 




Mar 19, 2017

বড় মেশিন গোল সার্ন, কণা ভাঙে খান খান!

সার্নের LHCb ঘোষণা দিল আরো পাঁচটি নতুন কণা আবিষ্কারের খবর!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যন্ত্র ২৭ কিলোমিটার পরিধির লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে সাতটি পার্টিকেল ডিটেক্টর পয়েন্ট রয়েছে। সাতটির একটি হল LHCb- লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বিউটি।

সার্নের LHCb এর অভ্যন্তরীণ চিত্র


যে পাঁচটি কণা পাওয়া গেছে সেগুলো ওমেগা-সি-জিরোর (Ωc0- প্রতীকটি এখানে লেখা যাচ্ছে না) পাঁচটি উত্তেজিত দশা।
ওমেগা-সি-জিরো একটি ব্যারিয়ন কণা।
ব্যারিয়ন হল হ্যাড্রনের একটা প্রকার, আরেকটা প্রকার হল মেসন।
প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের মহাকর্ষ আর তড়িৎচৌম্বক আমাদের মুখ ও মস্তিষ্কে উজ্জ্বল।
এই যে হ্যাড্রন সাহেবকে নিয়ে আসলাম, উনার কারবার হল সবল নিউক্লিয় বল এবং এর মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে। হ্যাড্রনের এক রাস্তা চলে গেছে ব্যারিয়নে। এর মধ্যে ওমেগা ব্যারিয়ন হল ব্যারিয়নের একটা উপরাস্তা আরকি।
ভয়ের কারণ নাই, পথ হারানোর ভয় নাই। জিনিস সোজা।
ব্যারিয়ন একটা যৌগিক কণা- তিনটি কোয়ার্কের সমন্বয়ে এক একটা ব্যারিয়ন গঠিত হয়। আমাদের সবচেয়ে চেনা ব্যারিয়ন হল প্রোটন আর নিউট্রন। স্পষ্টত, প্রোটন আর নিউট্রনও যৌগিক কণা। মৌলিক উপাদান হচ্ছে কোয়ার্ক। :)
কোয়ার্কের ছয়টা সদস্য (এই শেষ, প্রায় ফুরিয়ে এনেছি গিট্টু)
ছয়টা কোয়ার্কের নাম না বললে পাপ হয়ে যাবে।
আপ, ডাউন, চার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ এবং বটম কোয়ার্ক।
এই ছয়টা কোয়ার্ক থেকে বিভিন্নভাবে তিনটা করে কোয়ার্ক মিলে গঠন করে এক একটা ব্যারিয়ন।
আমাদের ওমেগা-সি-জিরো ব্যারিয়ন কণাটির নাম হচ্ছে চার্ম ওমেগা (Charmed Omega). দুইটা স্ট্রেঞ্জ কোয়ার্ক আর একটা চার্ম কোয়ার্ক মিলে গঠন করে একটা চার্ম ওমেগা। যেহেতু এর কোনো নিট আধান নেই তাই এর প্রতীক ওমেগা-সি-জিরো।

পাঁচটি ওমেগা ব্যারিয়ন চিহ্নিতকরণ তথ্যচিত্র
যে পাঁচটি উত্তেজিত দশা পাওয়া গেছে সেগুলোর নাম দেয়া হয়েছে Ωc(3000)0, Ωc(3050)0, Ωc(3066)0, Ωc(3090)0 and Ωc(3119)0. ব্র্যাকেটে দেয়া সংখ্যা MeV সূচক, যে শক্তিমাত্রায় এদের চিহ্নিত করা গেছে। MeV ব্যবহৃত হয় কোন কণার নিশ্চল অবস্থার ভর বোঝাতে। তো কোনটা ভারী, কোনটা হালকা এ ব্যাপারটাও খুব সহজেই বলে দিতে পারবেন এই গোলমেলে লেখাটা থেকেও। MeV যদিও শক্তির একক, আবার কণা পদার্থবিজ্ঞানে High Energy Physics এ কণাদের ভর হয় relativistic ও কণা-তরঙ্গ দ্বৈততার এ এক চমৎকার হিসেব। 
1MeV= 1.602 x 10^-13 জুল। অতএব আলোর বেগের বর্গ দিয়ে ভাগ করলেই চিরপরিভিত কেজি এককে ভর পেয়ে যাবেন। 






:)
বিজ্ঞানীদের পরবর্তী কাজ এদের কোয়ান্টাম নাম্বার বের করা আর অবশ্যই তাত্ত্বিক তাৎপর্য ধরে ফেলা। এর ফলে কোয়ার্ক এবং বহুকোয়ার্ক দশার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক খোলাসা হবে।

Jan 21, 2017

তথ্যসূত্র সংযোজন ইভেন্ট - 1 Librarian 1 Reference

১৫ই জানুয়ারি থেকে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছে উইকিপিডিয়ায় তথ্যসূত্র সংযোজন ইভেন্ট



আপনার আমার মত লাখো মানুষের সৃষ্টি বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই বিশ্বকোষের। আগস্ট '১৬ এর হিসেব অনুযায়ী উইকিমিডিয়ার মাসিক পেইজভিউ ১৫.৭ বিলিয়ন। শুধুমাত্র ইংরেজি উইকিপিডিয়ার পেইজভিউ হয়েছে ৭.৮ বিলিয়ন। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ভাষার ১১,০০০ নিবন্ধ পাতা।
উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধ পড়ার সময় আপনারা কোনো কোনো জায়গায় [citation needed] বা [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ট্যাগ দেখে থাকবেন। অর্থাৎ যেখানে কোনো তথ্য বা বর্ণনা প্রদানের পর নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র সংযোজন করা হয়নি।
যেহেতু শুন্য বাইট থেকে শুরু করে যেকোনো আকারের সম্পাদনাই উইকিপিডিয়াতে হয়ে থাকে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই পাঠকেরা যার জানা থাকবে অমুক তথ্যের ব্যাপারে তার তথ্যসূত্র সংযোজনের আশা করা হয়। কারণ, এটি একটি crowdsourcing effort.
লাইব্রেরির সাথে উইকিপিডিয়ার আজীবন সখ্যতা। লাইব্রেরির মানুষগুলোও তাই উইকিপিডিয়ার সখী-সখা। তাদের কাছে তাই আহ্বান যেখানে ট্যাগ দেয়া তথ্য আছে তাদেরকে ধরিয়ে দিন নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের কাছে। :)
এই ইভেন্টটিতে উইকিপিডিয়া লাইব্রেরি তথ্য সংযোজনকে গুরুত্ব দিয়ে একটি সময় বেঁধেছে। সারা বছরই কাজটা করা যাবে, কিন্তু আগুনে ফুঁ দিয়ে দেয়ার ব্যাপারও তো থাকে। এজন্যই আমরা মানুষেরা বছরজুড়ে নানান দিবস পালন করি।
এই সংশ্লিষ্ট সম্পাদনায় সম্পাদনা সারাংশে #1Lib1Ref হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।

Nov 7, 2016

৭ম জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন

মাত্র ছয়দিনে ১ হাজার ৩শ ৮৭টি ছেলেপেলে (মেয়েরাও এর মধ্যে পড়ে) সই করে বসে আছে যে তারা একটা সকাল শীতের কাতরতার আগে বিজ্ঞানের জন্য কাতর হয়ে কাটাবে।
এটা সেটা বিজ্ঞান না, সবচেয়ে বুজুর্গ বিজ্ঞান- পদার্থবিজ্ঞানের জন্য। :D

[যারা জানে না/ এখনও রেজিস্ট্রেশন করে নি তাদের জন্য পোস্ট দিচ্ছি]

আগামী ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ নির্ধারিত স্পটে আঞ্চলিক পর্যায়ের ৭ম পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর বাছাই অনুষ্ঠিত হবে।

অংশগ্রহণ করা যাবে তিনটি ক্যাটাগরীতে।

এ ক্যাটাগরী: ৭ম-৮ম শ্রেণী
বি ক্যাটাগরী: ৯ম-১০ম শ্রেণী
সি ক্যাটাগরী: ১১শ-১২শ শ্রেণী

১৩৮৭ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মিলে। চট্টগ্রাম অঞ্চল আবার ঢাকা অঞ্চল থেকে তিন ক্যাটাগরীতেই এগিয়ে। ঢাকাকে যেকোনো পর্যায়ে হারিয়ে দেয়া একটা ভালো লক্ষণ। কারণ এই হারটা এক ধরনের জয়। বিজ্ঞানকে পরীক্ষার চেয়ে উৎসব হিসেবে ছড়িয়ে দেয়ার জয়। :)

এবার ইন্দোনেশিয়ায় যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড হতে যাচ্ছে তা ৪৮তম, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় যে এশিয়ান অলিম্পিয়াড হতে যাচ্ছে তা ১৮তম।
অথচ আমরা যে জাতীয় অলিম্পিয়াড করতে যাচ্ছি তা ৭ম।
এর থেকে একটি সোজাসাপ্টা সত্য হল, বৈশ্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে আমরা এশিয়ানরা কিছুটা পিছিয়ে, আর বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে।

"আমরা ইউরোপীয়ানদের চেয়ে বিজ্ঞানে ৫০০ বছর পিছিয়ে"- হয়ত ত্রিশ বছর পর এই একই লাইন মাথায় নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে কাউকে ডেকে বলব, ভাই অনেক দিন একটা কটাক্ষ মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আজ সেটা জোকস হয়ে গেছে। আপনি কি শুনবেন?
:) 

সোনার ছেলেরা! সোনার মেয়েরা! তোমাদের চোখে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন। :)

লিংক:
http://bdpho.org/

#Physics
#Olympiad
#Registration